ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফু কি?
ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফু একটি মারাত্বক ছোঁয়াচে রোগ যা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস এ এবং ই এর কারণে হয়ে থাকে। ফু সাধারণ থেকে মারাতœক অসুস্থতা ঘটাতে পারে যা কিনা কোন কোন ক্ষেত্রে মত্যুর করণও হতে পারে। ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু এর কারণে প্রতিবছর সারাবিশ্বে প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষ মারাতœক অসুস্থতায় ভোগে এবং প্রায় ২.৫ থেকে ৫ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করে।
কিভাবে ফ্লু ছড়ায় ?
ফু সাধারণত মানুষের হাঁচি, কাশি এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ছড়ায়। যে সমস্ত বস্তুর উপর ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস থাকে সেগুলি সপর্শ করার পর যদি ঐ ব্যক্তি তার নাক বা মুখ সপর্শ করে তবে তা থেকে তার ইনফ্লুয়েঞ্জা হতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুস্থ ব্যক্তি ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গ প্রকাশের একদিন পূর্ব হতে ইনফ্লুয়েঞ্জা দেখা দেয়ার পাঁচ থেকে সাত দিন পর পর্যন্ত আরেক জনকে সংক্রমিত করতে পারে।
ফ্লু এর লক্ষণ সমূহ কি কি ?
জ্বর (অধিকাংশ ক্ষেত্রে তীব্র), মাথাব্যাথা, মারান্তক দূর্বলতা, শুকনো কাশি, গলা ব্যাথা, সর্দি/নাক দিয়ে পানি পড়া, মাংসপেশিতে ব্যাথা, বমিভাব।
ফ্লু কতটা মারাতক ?
ক্ষেত্র বিশেষে এই রোগ মারাতক সমস্যার সৃষ্টি করে। ফ্লু এর উপসর্গগুলি অনেকটা সাধারণ সর্দি কাশির মতো। তাই অনেকেই সর্দি-কাশি ভেবে এই রোগকে অবহেলা করে যা কখনো কখনো মারাতœক জটিল সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধদের (যাদের বয়স ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে ক্ষেত্রে ফ্লু থেকে সাবধানতা গ্রহন করা অতীব জরুরী। কারণ গবেষণায় দেখা গেছে ফ্লু এর কারণে যত লোক মারা যায় তার অধিকাংশই বয়াবেৃদ্ধ। বয়াবেৃদ্ধ ছাড়াও পূর্ণবয়ষ্ক এবং শিশু যারা শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত রাগে (অ্যাজমা), হৃদরাগে, কিডনিজনিত সমস্যায় ভুকছে তাদের জন্য ফু ঝুকিপূর্ণ। এছাড়াও এই রোগের কারণে কর্মক্ষেত্রে এবং শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির হার বেড়ে যায়।
কাদের ক্ষেত্রে ফ্লু তে আক্তান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচাইতে বেশি ?
অ্যাজমা এবং ঈঙচউ এর রোগী
হৃদরাগেী, ডায়াবেটিসের রোগী, কিডনি এবং লিভার সমস্যায় ভুকছে এমন রোগী
অন্যদেশে ভ্রমণকারী
এছাড়া আরও ফু ঝুঁকিতে আছেন যাদের বয়স
৬০ বছরের ঊর্ধ্বে
৫ বছরের কম বয়সের শিশুরা বিশেষত ২ বছরের কম যাদের বয়স
গর্ভবতী মহিলা
কি ভাবে ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরাধে করা যায় ?
স্বাস্থ্য সম্মত জীবন যাপন করা
সাবান দিয়ে বারবার হাত ধুতে হবে এবং অ্যালকোহল যুক্ত হ্যান্ড রাব ব্যবহার করতে হবে।
অকারণে হাত চোখে, নাকে এবং মূখে দেওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
হাঁচি, কাশির সময় মুখে রুমাল/টিস্যু দ্বারা নাক, মুখ ঢেকে রাখতে হবে
অসুস্থ রাগেীর সেবা করার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সাবধাণতা অবলম্বন করতে হবে
ভ্যাকসিনেশন
ফ্লু এর চিকিৎসা বা প্রতিরোধের কার্যকরী উপায় কি ?
বিশ্রাম ছাড়া ফ্লু এর তেমন কোন কার্যকরী চিকিৎসা নেই। তবে কার্যকরী টিকার মাধ্যেমে এই রাগে প্রতিরাধে করা যায়। ডঐঙ এর মতে ফু প্রতিরােেধ ভ্যাকসিনের। কোন বিকল্প নেই।
ফ্লু ভ্যাকসিন এর ডোজ এবং ব্যবহার বিধি
বয়স ভ্যাকসিনেশন ডোজ ১ম ডোজ ২য় ডোজ রিভ্যাকসিনেশন ব্যবহার বিধি
শিশু যাদের বয়স -৬৩৬ মাস ০.২৫ মি.লি ২টি যেকোন দিন ৪ সপ্তাহ পর প্রতি বছর ১টি ডোজ
মাংস
পেশিতে
৩ বছরের উর্দ্ধে ০.৫০ মি.লি ১টি যেকোন দিন Ñ প্রতি বছর ১টি ডোজ